রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২

রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি

এসএসসি(ভোকেশনাল) - রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং-২ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

১.২.১ রেফ্রিজারেশন পদ্ধতি (Refrigeration System ) 

রেফ্রিজারেশন শব্দটি রেফ্রিজারেন্ট (Refrigerant) শব্দ হতে এসেছে, যার বাংলা অর্থ হচ্ছে হিমায়ন বা শীতলীকরণ অর্থাৎ, হিমায়িত করা। রেফ্রিজারেশন বা হিমায়ন/ঠান্ডাকরণ/শীতলীকরণ বলতে আমরা সাধারণত বুঝি, কোন সীমিত বা আবদ্ধ স্থানের তাপমাত্রা (Temperature) এর চারপাশের তাপমাত্রা অপেক্ষা কমিয়ে বস্তু সমূহকে শীতল করে সংরক্ষণ করা। অর্থাৎ, হিমায়ন হল কৃত্রিম উপায়ে শক্তি প্রয়োগে নিম্ন তাপমাত্রা হতে উচ্চ তাপমাত্রায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া। মূলত এটিই রেফ্রিজারেশন। সাধারণত তাপমাত্রা (Temperature) কমাতে হলে তাপ (Heat) কে সরাতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে তাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে (Automatic) উচ্চ তাপমাত্রা হতে নিম্ন তাপমাত্রায় চলে আসে। লো-টেম্পারেচার (Low Temperature) বা নিম্ন তাপমাত্রা, হাই-টেম্পারেচার (High Temperature) বা উচ্চ তাপমাত্রায় স্থানান্তর করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তাই হিমায়ন (Refrigeration) পদ্ধতি। পানি তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত (Evaporation) হয়। তরল যে পাত্র হতে বাষ্পীভূত হয় সে পাত্র হতে তাপ গ্রহণ করে। ফলে পাত্রটি ঠান্ডা হয়। সুতরাং, রেফ্রিজারেশন হল কোনো স্থানের তাপমাত্রা পার্শ্বস্থ তাপমাত্রা হতে কমিয়ে রাখা। টন অব রেফ্রিজারেশন এর সাহায্যে হিমায়ন ক্ষমতা প্রকাশ করা হয়ে থাকে ।

সাধারণত -100°C পরম তাপমাত্রা পর্যন্ত ঠান্ডা করণকে ক্রায়োজেনিক (Cryogenic) তাপমাত্রা বলে ।

 

 

Content added By
Promotion